কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী বার্ষিক শিক্ষা কার্যক্রমকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করে সুষ্ঠু ও ফলপ্রসূ পাঠদান নিশ্চিত করে থাকে। এই ধাপগুলোকেই আমরা সেমিস্টার পরিকল্পনা হিসেবে বিবেচনা করি।
প্রতিবছর শিক্ষাবর্ষে মোট তিনটি সেমিস্টার পরিচালিত হয়।
সেমিস্টার | সময়কাল | কার্যক্রম |
---|---|---|
প্রথম সেমিস্টার | জানুয়ারি – মার্চ | পাঠদান শুরু, ক্লাস টেস্ট, কুইজ, ১ম সাময়িক পরীক্ষা |
দ্বিতীয় সেমিস্টার | এপ্রিল – জুন | নিয়মিত ক্লাস, প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষা, অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা |
তৃতীয় সেমিস্টার | জুলাই – নভেম্বর | পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি, মডেল টেস্ট, বার্ষিক/বোর্ড পরীক্ষা |
প্রতিটি সেমিস্টারে কুইজ, শ্রেণি পরীক্ষা, উপস্থিতি ও আচরণ বিবেচনায় ধারাবাহিক মূল্যায়ন হয়
প্রকল্প/ব্যবহারিক শিক্ষায় ব্যবহারিক পরীক্ষা ও মৌখিক মূল্যায়ন হয়
বার্ষিক ফলাফলে তিনটি সেমিস্টারের গড় নম্বর হিসেব করা হয়
✅ পাঠ্যসূচিকে সময়মতো শেষ করা
✅ শিক্ষার্থীদের উপর চাপ না দিয়ে ধাপে ধাপে মূল্যায়ন
✅ দুর্বল শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ভিত্তিক উন্নয়নের সুযোগ
✅ অভিভাবকদের নিয়মিত অগ্রগতির প্রতিবেদন দেওয়া
✅ বোর্ড পরীক্ষার পূর্ণ প্রস্তুতি নিশ্চিত করা
প্রতিটি সেমিস্টারে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক
নির্ধারিত সময়মতো হোমওয়ার্ক ও প্রকল্প জমা দেওয়া
নিয়মিত উপস্থিতি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা
সেমিস্টার শেষে ফলাফল ও পর্যালোচনায় অভিভাবক-শিক্ষক আলোচনায় অংশ নেওয়া
আপনার সন্তানের প্রতিটি সেমিস্টার পরীক্ষা ও ক্লাস পারফরম্যান্স সম্পর্কে খোঁজ রাখুন
বিদ্যালয়ের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সভায় অংশগ্রহণ করুন
প্রয়োজন হলে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করুন
সুশৃঙ্খল ও পরিকল্পিত সেমিস্টার ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় গতি আনে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল উন্নত করে।
"প্রতিটি ধাপে পরিকল্পিত অগ্রগতি, ভবিষ্যতের সফলতার চাবিকাঠি।"